জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্র বিনাশী সরকার আবারো পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে। গণদাবীকে উপেক্ষা করে আজ্ঞাবহ দলীয় নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরিনতি ভালো হবেনা। সময় থাকতে শুভবুদ্ধির উদয় না হলে সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে। বাকশালী সরকার চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া দেশে আর কোন পাতানো নির্বাচনের ফ্যাসিবাদী স্বপ্ন জনগণ পূরণ হতে দিবে না।
তিনি রোববার সকালে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে ও দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা ফয়জুর রহমান, ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার, পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ারসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। যতই জুলুম নিপীড়ন হোক না কেন দেশে যে কোন পাতানো নির্বাচন জাতি প্রতিহত করবে। অবিলম্বে আমীরে জামায়াত সহ সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন ও নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পূণর্বহাল করে দ্রুত পদত্যাগ করুন। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনতার গণবিষ্ফোরণে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।