সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) এর উপর সীমাহিন জুলুম করা হয়েছে। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ইসলাম বিদ্বেষী সরকার তাঁকে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় মিথ্যাচারের নাটকীয় বিচারে সাজা দিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত আল্লামা সাঈদী দৃঢ়তা ও নির্ভীক উচ্চারণে স্পষ্ট করেছেন তিনি নিরাপরাধ। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ আল্লামা সাঈদী (র.) এর জন্য গায়েবানা জানাজা ও দোয়া করলেও ঢাকায় তাঁর জানাজা করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজায় পুলিশী বাঁধা দেয়া হয়েছে। বিভিন্নস্থানে জানাজা ও দোয়া মাহফিলে হামলা-মামলা, গণগ্রেফতার ও কক্সবাজারে একজনকে গুলী করে শহীদ করা হয়েছে। এই কর্মকান্ড সরকারের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ও আল্লামা সাঈদীর প্রতি সরকারে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। তৌহিদী জনতার সরকারের ঘৃণ্য কর্মকান্ড প্রত্যাখ্যান করেছে। কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বুধবার দুুপরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ঢাকায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা করতে না দেয়া, ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজায় বাঁধা, পুলিশি হামলা ও কক্সবাজারে শহীদ ফুরকানকে হত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারী ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা মুজিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, জামায়াত নেতা মঞ্জুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) ছিলেন বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন। তাঁকে বিচারের নামে অবিচার চালিয়ে একযুগেরও বেশী সময় অন্ধকার কারাপ্রকোষ্টে বন্দী রেখে জুলুম নিপীড়নের মধ্য দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুতে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহ শোকাবিভুত। অথচ সরকার মৃত্যুর পর তাঁর জানাজায় জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুতে ইন্নালিল্লাহি বলায় এবং শোক প্রকাশ করায় সরকারদলীয় কয়েক শত নেতাকর্মীকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের বহিপ্রকাশ। কুরআনের খেদমত ও দ্বীনের প্রসারে আল্লামা সাঈদী (র.) এর অবদান মুছে ফেলার সাধ্য কারো নাই। আল্লামা সাঈদী চিরকাল এদেশের তৌহিদী জনতার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ।