জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ কারাবন্দি সকল নেতা-কর্মীকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৭ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান প্রায় ৫ মাস যাবৎ, নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর যাবৎ কারাগারে আটক রয়েছেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম প্রায় ১২ বছর যাবৎ এবং সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল প্রায় ৮ বছর যাবৎ কারাগারে আটক রয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ জামায়াতের অনেক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
পবিত্র এই রমজান মাসে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাতের ভ‚মিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান ২০১৬ সালের আগষ্ট মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে নিজ নিজ বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবার-পরিজন জানতে পারেনি তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে। ছয় বছর যাবৎ তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন। ফিরে আসার প্রতীক্ষায় তাদের পরিবার-পরিজন এখনো অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাদের ফিরিয়ে দিয়ে পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদুল ফিতর পালন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সকল নেতাকর্মী যাতে তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন সে জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”