সরকার আগামীতে আবারো তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য জামায়াত সহ দেশপ্রেমী শক্তির বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চালানোর অংশ হিসাবেই প্রতিশ্রুতিশীল ও পরিছন্ন রাজনীতিক, মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিজেদের নগ্ন, অগণতান্ত্রিক ও বিভৎস চেহারা জাতির সামনে উম্মুক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মো. মাহফুজুর রহমান।
তিনি আজ দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের বসুন্ধরা সাংগঠনিক থানা আয়োজিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাতের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল থেকে (৭ এপ্রিল, শুক্রবার) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ ৮ জনকে ইফতাররত অবস্থায় বেআইনীভাবে আটক করে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা মামলায় ৫দিনের রিমাণ্ডে নেওয়ার প্রতিবাদ এবং রিমাণ্ড বাতিল করে অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন ও আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও বৈধ রাজনৈতিক দল। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অথচ জামায়াত নেতাদের অন্যায়ভাবে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে প্রশাসন। জামায়াত প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের কল্যাণে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রেখে আসছে। সেই লক্ষ্যেই বসুন্ধরায় যাকাতের গুরুত্ব শীর্ষক ঘরোয়া আলোচনার আয়োজন করেছিল।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার, আটক, হয়রানি, এবং একের এক হত্যা ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতাদের বেআইনীভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতায় মহানগরী আমীর সেলিম উদ্দিনসহ আটক নেতাদের ৫ দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু এসব করে আওয়ামী বাকশালী ও ফ্যাসিবাদীদের শেষ রক্ষা হবে না বরং জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য তাদেরকে একদিন ইতিহাসে আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ আটক শীর্ষনেতা অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।