জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জাতিসংঘসহ পুরো বিশ^কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের উপর অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা অতীতের হত্যাযজ্ঞকে ছাড়িয়ে গেছে। ইসরাইলী নির্মমতার শুধু মুখে নিন্দা ও প্রতিবাদ নয়, কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত ৭ মাসে ইসরাইলী হায়েনারা ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের জঘন্যতম ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের একের পর এক শহর ধ্বংস করে তারা এখন রাফাহ শহরেও হামলা শুরু করেছে। ইসরাইল এই কয়েক মাসে ফিলিস্তিনের ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি। ইসরাইলী বর্বরতা থেকে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা কিছুই রক্ষা পাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতিসংঘসহ সকল আন্তজার্তিক সংস্থা এবং মুসলিমবিশ্ব সহ বিশ্ব মোড়লদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলীদের বর্বর হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলটি নগরীর বন্দরবাজার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে নয়াসড়ক পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা দক্ষিণের নায়েবে আমীর ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারী ও সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, মাওলানা মুজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন এখন শুধু ধ্বংসস্তুপ। সেখানে সর্বত্র মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য পানীয়সহ সকল জরুরী পণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এরইমধ্যে ইসরাইল রাফায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা পুরো পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। এমতাবস্থায় ইহুদীবাদীদের এমন নৃশংসতা ও নির্মমতা বিরুদ্ধে কোন মুসলমান ঘরে বসে থাকতে পারেনা। এর বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ সহ শান্তিকামী বিশ্ববাসীকে স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের পক্ষে জোড়ালো ভুমিকা পালন করতে হবে। একইসাথে ইসরাঈলের সাথে মুসলিম বিশ্বের সকল প্রকার বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। তাদের সাথে সম্পর্কিত সকল কোম্পানি পণ্য বর্জন করতে হবে।