জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বাকশালী সরকার জনদাবীকে উপেক্ষা করে প্রহসনের ডামি ভোটের মাধ্যমে অবৈধভাবে গদি দখল করেছে। ৭ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জনগণ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল, ৭ বছরের শিশু থেকে শুরু করে সরকারদলীয় নেতাকর্মী এবং ডামি লোক দিয়ে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তামাশার ঐ নির্বাচন কোথাও কোনোভাবেই বৈধতা পাবে না। পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নস করে দিয়েছে। অনতিবলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকার পুনর্বহাল করে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রহসনের দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী পূর্ব থানা জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের কাজীটুলা বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী পূর্ব থানা আমীর রফিকুল ইসলাম, নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম সুয়েব, থানা সেক্রেটারী মো: মুহিব আলী, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল মুকিত জাকারিয়া, সেক্রেটারী মোঃ হানিফ, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দলদাস নির্বাচন কমিশনের প্রহসনের নির্বাচন শেষ হতে না হতেই বাজার সকল নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় সরকার জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে। এর মাধ্যমে দলীয় বাজার সিন্ডিকেটের পকেট ভারী ও জনগণের টাকা লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে। এই বাকশালী সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। ৭ জানুয়ারীর প্রহসনের দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।