সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাকশালী সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে গণতন্ত্রকে হত্যা ক্ষান্ত হয়নি। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে জাতির সাথে চরম প্রতারণা করেছে। তারা ২০১৪ সালে বিনাভোটে সরকার গঠন করেছে। ২০১৮ সালে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে। ২০২৪ সালে এসে তারা ডামি ভোটের মাধ্যমে ফের গদি দখল করেছে। মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোটকে ৪০ শতাংশ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম মিথ্যাচারের নজির স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র হত্যার দায়ে ঐ কমিশনেরও বিচার হবে। ডামি ভোটের পাতানো নির্বাচনে গঠিত বর্তমান সংসদ কোনদিন বৈধতা পাবেনা। অবিলম্বে অবৈধ সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে।
রোববার জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রহসনের দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদের নেতৃত্বে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় জামায়াত নেতা মু. শাহেদ আলী, নজরুল ইসলামসহ মহানগর ও শাহপরান পশ্চিম থানা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারীর তামাশার নির্বাচনের জনগণের অংশগ্রহণ ছিলনা। এটা ছিল ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠান। সেই পাতানো ভোটে নিজদলের ডামি প্রার্থীগণও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা অভিযোগ করেছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। প্রহসনের ঐ ডামি ভোট বাতিল করতে হবে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে চলবে।