সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জামায়াত আহুত স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন ও ভোট বর্জনের মাধ্যমে সিলেটবাসী গণতন্ত্রবিনাশী নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে। প্রহসনের নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে সরকারের দলদাস নির্বাচন কমিশন (সিইসি) ঘোষিত ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি। ভোটার না থাকায় অনেক কেন্দ্রে রাস্তা থেকে পথশিশুদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে, দলীয় নেতাকর্মী এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে দেশের মৃত গণতন্ত্রের দাফন সম্পন্ন করেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনের ইতিহাসের আরেকটি নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করা হয়েছে। সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরায় দুয়েকটি চ্যানেল ছাড়া বাকী চ্যানেলগুলোতে ভোটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটার শুন্য কেন্দ্র, জোরপূর্বক ভোট ও কেন্দ্র দখলের বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে ২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি না হলেও সেটাকে বেশী দেখিয়ে জাতির সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এরমাধ্যমে আওয়ামী বাকশালীদের ভোট ডাকাতির চরিত্র জাতির কাছে আবারো উন্মোচিত হয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী উপরোক্ত কথা বলেন। প্রহসনের নির্বাচনের বর্জন করায় সিলেটবাসীকে অভিনন্দন জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাকশালী সরকারকে ফের ক্ষমতায় নিতে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভোটের নামে জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। সেই তামাশার নির্বাচনের সাথে দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার কোন সম্পর্ক ছিলনা। পাতানো নির্বাচনে কারা বিজয়ী হবে সেটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিল। ভোটারবিহীন নির্বাচন শেষে পূর্ব নির্ধারিত সেই সব প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে নাটকের সমাপ্তি টানা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যার সাথে জড়িতদের বাংলাদেশের মাটিতে জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।