জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় নগরীর হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় মানুষের আসবাবপত্র, ঘর-বাড়ী, পশু-পাখি, ফসলাদি, মৎস্য সম্পদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নামলেও বন্যার ক্ষত নিয়ে তাদেরকে দীর্ঘদিন চলতে হবে। বন্যার পানি নামার সাথে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ডায়য়িরা সহ নানা পানিবাহিত রোগব্যাধীর প্রকোপ দেখা দেখা দিয়েছে। তাদের জন্য জরুরী স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে হবে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এই সময়ে তারা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি আর্থিক চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জলাবদ্ধতা নামক দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি শুক্রবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের যতরপুর এলাকায় পানিবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। কোতোয়ালী পূর্ব থানা আমীর রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ১৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম সুয়েব, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী শাহ আলম জামাল ও কাউসার আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- থানা সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মোতালেব ও এডভোকেট জুনেদ আহমদ, জামায়াত নেতা আব্দুস শহীদ জোয়ারদার, শাহীন উদ্দীন, আবুল কাশেম, কবির হোসেন, এখলাছুর রহমান ও সাইদুজ্জামান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ফের সাম্প্রতিক বন্যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ এর মতো। জামায়াত ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করেছে। এবারও বন্যার শুরু থেকে জামায়াতে বন্যা কবলিত পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকার ও সামর্থবানদের উচিত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এতে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।