জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ২০২২ সালের পর আবারো ২০২৪ সালে বিভিষিকাময় একটি রাত পার করেছেন সিলেট নগরবাসী। কয়েক ঘন্টার ভারী বর্ষণে নগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, বাসা-বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গভীর রাতে পানি বৃদ্ধির কারণে অনেকেই তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল সরাতে পারেন নি। মানবতাবাদী সংগঠন হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ ভোর থেকেই পানিবন্দীকে মানুষকে উদ্ধারে কাজ করেছেন। বাসা-বাড়ীর মালামাল রক্ষায় সহযোগিতা করেছেন। জামায়াতের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। নগরবাসীকে আকস্মিক বন্যার হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে বার বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে নিরীহ নাগরিকবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। নগরকে বন্যা ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষায় সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। নদী ভরাট হয়ে গেছে খননের উদ্যোগ নেই, খাল-ছড়া ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের অভাবে কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমুহ তলিয়ে যায়। আকস্মিক বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। অতীতের মতো এই দুর্যোগেও জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা করা হবে।
তিনি সোমবার সিলেট নগরীর বন্যা কবলিত এলাকাসমুহ পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্থদের সহমর্মিতা প্রদানকালে উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদেরকে জামায়াতের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, ক্বারী আলাউদ্দিন, মু. আজিজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শাহেদ আলী, পারভেজ আহমদ, নজরুল ইসলাম, জুনাইদ আল হাবীব প্রমূখ।