সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল চলছে। এই কাউন্সিলের সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। তাই গণতন্ত্রকামী জনতা ভোট বর্জনে প্রস্তুত রয়েছে। জামায়াত আহুত হরতাল ৪৮ ঘন্টা হরতালের ১ম দিন হরতাল সফলের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক জনতা কথিত পাতানো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইভাবে রোববারও হরতাল সফলের মাধ্যমে জনগণ প্রহসনের নির্বাচনকে বয়কট করে বাকশালী সরকারের গণতন্ত্রবিনাশী ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করবে।
শনিবার দিনভর জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত ৪৮ ঘন্টা হরতাল কর্মসূচীর ১ম দিন হরতাল চলাকালে নগরীর পৃথক স্থানে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে পিকেটিং ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী পৃথক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
শনিবার সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে নগরীর মেডিকেল রোড কাজলশাহ এলাকায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মু. আজিজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মিয়া মোহাম্মদ রাসেল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী শাহীন আহমদ।
মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রবের নেতৃত্বে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায় পিকেটিং ও মিছিলে অংশ নেন জামায়াত নেতা শামীম আহমদ।
দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পিকেটিং ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় জামায়াত নেতা শফিকুল আলম মফিকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পিকেটিং ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ।
এছাড়া দিনভর নগরীর বিভিন্ন থানা শাখার উদ্যোগে পিকেটিং ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পাতানো নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সাথে জড়িতদের জাতি কখনো ক্ষমা করবেনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে গণতন্ত্র হত্যায় জড়িত দলদাস নির্বাচন কমিশনকেও একদিন জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। নির্বাচনের নামে জাতিকে ধোকা দেয়ার প্রহসন বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সরকার পুনবর্হাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুন।