জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, বাকশালী সরকার ২০১৪ ও ১৮ স্টাইলে গত ৭ জানুয়ারী পাতানো একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে। ভোটারবিহীন প্রহসনের এই নির্বাচন সরকার কিছু প্রার্থী নির্ধারণ করে দিয়েছে। তারা সবাই বিজয়ী হয়েছে। যেখানে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পড়েনি, সেখানে দলদাস নির্বাচন কমিশন ৪০ শতাংশের বেশী ভোট কাস্ট দেখিয়ে বাকশালীদের ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়ন করেছে। নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্র তড়িঘড়ি করে মন্ত্রীসভা ও সরকারগঠনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার ডামি ভোটের আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণকর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ভোট কারচুপির এই সরকার কখনো বৈধতা পাবেনা। অনতিবিলম্বে অবৈধ মন্ত্রীসভা ও সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে কাজ করতে হবে।
তিনি শনিবার সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী মহানগর মজলিসে শুরা’র সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ ও সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরো বলেন, ৭ জানুয়ারীর কথিত প্রহসনের নির্বাচনে ভোটবর্জনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকামী জনতা বাকশালী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বাকশালী সরকার ও নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা খরচ করে পাতানো নির্বাচনের নামে জাতির সাথে প্রতারণা করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ফের গদিতে বসানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে। এর সাথে জড়িতদের একদিন জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।