জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ৭ জানুয়ারীর প্রহসনের ভোট বর্জনের মাধ্যমে দেশবাসী গণতন্ত্রবিনাশী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের ধূসর নির্বাচন কমিশনকে আবারো প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপর এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোন নৈতিক ভিত্তি নেই। জনমতের প্রতি ন্যুনতম শ্রদ্ধবোধ থাকলে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে বাকশালী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি। ভোটার না থাকায় অনেক কেন্দ্রে রাস্তা থেকে পথশিশুদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে, দলীয় নেতাকর্মী এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে দেশের মৃত গণতন্ত্রের দাফন সম্পন্ন করেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনের ইতিহাসের আরেকটি নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য বাকশালীদেরকে জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রহসনের দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর বন্দরবাজার এলাকা লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীসহ নগর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন ছিল বাকশালী সরকারকে ফের ক্ষমতায় নেয়ার নির্বাচন। সেই তামাশার নির্বাচনের সাথে দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার কোন সম্পর্ক ছিলনা। পাতানো নির্বাচনে কারা বিজয়ী হবে সেটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিল। অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও আমীরে জামায়াতসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।