সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাকশালী সরকার বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমনে নির্মমতা ও নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে ফরমায়েসী সাজা প্রদান করছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে মিথ্যা সাজা দিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছেনা। তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতে গুপ্ত হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী নেতাকর্র্মীরা সরকারের গোপন বাহিনীর দ্বারা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছে। যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লংঘন। এভাবে কোন রাষ্ট্র চলতে পারেনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া মানুষের দেশের নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তির পথ নেই। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকার পুনবর্হাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে ফরমায়েসী সাজা ও গুপ্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এসব জুলুম-নিপীড়নের পরিনতি ভালো হবেনা।
শনিবার বিকেলে নগরীর আম্বরখানা এলাকায় জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ‘নিম্ন আদালতে প্রহসনের বিচার, ফরমায়েসী রায় ও গুপ্ত হত্যার প্রতিবাদে’ সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জামায়াত নেতা মুফতি আলী হায়দার, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি সিদ্দিক আহমদ প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাকশালী সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে ফের পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। জাতি তাদের ফরমায়েসী তফসিলের একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দতে শুরু করে সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। গণগ্রেফতার চালানোর পাশাপাশি সরকার এবার গুপ্তহত্যার মতো নৃশংসতা চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। কিন্তু তাদের কোন ষড়যন্ত্রই জাতি সফল হতে দিবেনা। দেশে আর কোন পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। অবিলম্বে আমীরে জামায়াতসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল করতে হবে। ফরমায়েসী সাজা ও গুপ্ত হত্যার মতো নৃশংস কর্মকান্ড পরিহার করতে হবে।