বিশ^ননিন্দত মুফাসসিরে কুরআন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) এর গায়েবানা জানাযার আয়োজন করেছে সিলেট জামায়াত। আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে এই জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় শামিল হওয়ার জন্য ধর্মপ্রাণ সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট মহানগর, জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মহানগর, জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রবীণ জামায়াত নেতা ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা দক্ষিণের সাবেক আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, জেলা দক্ষিণের নায়েবে আমীর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা উত্তরের নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, জেলা উত্তরের সেক্রেটারী ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় কুরআনে পাখি খ্যাত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। তাঁর শাহাদাত কবুলিয়াত কামনা ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বুধবার বাদ জোহর নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য ধর্মপ্রাণ সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ফজলুর রহমান বলেন, আল্লামা সাঈদী ছিলেন বিশ^নন্দিত মুফাসসিরে কুরআন। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশী সময় সারা বাংলাদেশে ও সারাবিশে^ কুরআনের তাফসীর করে গেছেন। তার তাফসীর শুনে অনেক মানুষ হেদায়াতের পথে, দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে। কুরআনের কারণেই তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রিয় পাত্র ছিলেন। তিনি কুরআনকে মহান সংসদে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন কুরআনের খাদেম ও দ্বীনের রাহবারকে হারালাম। যার শুন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।
তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হতেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছিলেন। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে তাকে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় মিথ্যাচারের নাটক সাজিয়ে বিচারের নামে তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়। বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়। মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত আল্লামা সাঈদী দৃঢ়তা ও নির্ভীক উচ্চারণে স্পষ্ট করেছেন তিনি নিরাপরাধ। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এদেশের মানুষও সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি মানুষের হৃদয়ে চির অমলিন থাকবেন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আল-আমীন আল্লামা সাঈদীকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন, পরিবারবর্গ ও শোকাহত দেশের কুরআনপ্রেমিক জনতাকে এই শোক সইবার শক্তি দিন। আমীন।