সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার অতীতের মতো প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার হরণে লিপ্ত রয়েছে। জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে বিশ^াসী। সভা সমাবেশ যে কোন রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রশাসন দেশব্যাপী বার বার জামায়াতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে বাধাঁ দিয়ে সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করছে। এর পরিনতি ভাল হবেনা। সভা-সমাবেশে বাঁধা দিয়ে কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহালের দাবী বন্ধ করা যাবেনা। দেশপ্রেমিক জনতাকে সাথে নিয়ে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করুন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম-উলামাদের মুক্তি দিন। জামায়াতের সভা সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করুন।
রোববার দুুপরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ঢাকাসহ সারাদেশে জামায়াতের কর্মসূচী পালনের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রবের পরিচালনায় অনুুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ- অবিলম্বে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল, আমীরে জামায়াতসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামার মুক্তি, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি প্রদানসহ ১০ দফা দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারী ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান, মঞ্জুর রহমান, পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমদ প্রমূখ।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকার ফের প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ যে কোন রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার হলেও সরকার বার বার জামায়াতের সেই অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। এই সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ প্রশাসনের দ্বারা দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহালের বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধাঁ দিয়ে গদি রক্ষা করা যাবেনা। জামায়াতের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারান্তরীণ ৭নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলার সায়ীদ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জামায়াত নেতা আজিজুল ইসলামসহ কারাগারে আটক জামায়াতের ১৮ নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশকে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে সরকারকে ফ্যাসিবাদী আচরণ ত্যাগ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসতে হবে।