জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি সংসদে উত্থাপিত বাজেট দেখে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি ভয়ে আতকে উঠছে। সরকার কল্পনাবিলাসী ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজেট দেখিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চায়। ঋণ-নির্ভর ঘাটতির এই বাজেটের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ যা জাতির সাথে উপহাসের শামিল।
তিনি বলেন, এ বছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানবসম্পদ ও শিক্ষাখাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বের কথা বলা হলেও বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই। বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ, আর বাজেট ঘাটতি হচ্ছে জিডিপির ৫.২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট এবং প্রবৃদ্ধির হার বাস্তবতা বিবর্জিত ও কল্পনা-নির্ভর। বাজেটে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। বাজেটে করের আয়তন বাড়ানো হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ধনীদের জন্য বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেয়া হলেও নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি একটি গোঁজামিলের বাজেট। মূলত সরকার এ বাজেটের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে চায়।
তিনি সোমবার সিলেট মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ও ড. নূরুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ। সভায় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।