সম্প্রতি সিলেট নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের গোলাপবাগ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বসতঘর পরিদর্শন করেছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদের নেতৃত্বে নগর একটি টীম ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান। এসময় নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে ঘর মেরামতের জন্য দুটি পরিবারের অভিভাবকের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সোহেল আহমদ রিপন, শাহপরান পশ্চিম থানা আমীর মুহাম্মদ আনোয়ার আলী, ২৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আহমদ আল মাসউদ, জামায়াত নেতা সৈয়দ ফরহাদ হোসাইন, আব্দুল করিম, আশিক নূর ও শেখ নান্নু প্রমূখ।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর পরিদর্শন ও নগদ অর্থ প্রদানকালে মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, বিপদ মুসিবত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য পরীক্ষাস্বরুপ। যে কোন বিপদে ও দুর্ঘটনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই। আল্লাহ পাক আমাদের সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার তৌফিক দেন। তাই বিপদে মুসিবতে সকল অবস্থায় আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে। এক ভাইয়ের বিপদে অন্য ভাইয়ের এগিয়ে আসা ইসলামী আন্দোলনের শিক্ষা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা বিপদে ভাইয়ের সাহায্যে সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে এসেছি। আর্তমানবতার কল্যাণে আমাদের এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মু. শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মোবারক হোসাইন, কামরুল আহসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুল কাইউম মুরাদ, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি আরিফ হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমানসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের বিভিন্ন থানা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে মিথ্যা ও সাজানো একটি মামলায় একের পরে এক রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। এইভাবে একই মামলায় বার বার রিমান্ড প্রদান মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। একই সাথে এই মিথ্যা মামলা বাতিল করে ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ১০ দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে এই সরকার ভীত হয়ে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, গ্রেফতার ও হুলিয়া দিয়ে চলমান এই আন্দোলনকে দমন করা যাবেনা। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের সকল ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরন করে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণ দিশেহারা, ব্যাংক খাত ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে আছে, লুটপাট দুর্নীতি করে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করে বেগম পাড়া তৈরি করেছেন তাদেরকে জনগণের টাকা জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে অন্যথায় খুব শীঘ্রই তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দার করায়ে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আগামী দিনে দেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন সংগ্রামের ১০ দফা দাবী আদায়ে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।